সন্ধ্যান মিলেছে মৎস্যকন্যার - ভিডিওসহ
মৎস্যকন্যা শুধুই গল্পের বইয়ের পাতায় থাকে না। বাস্তবেও সন্ধ্যান মিলেছে মৎস্যকন্যার। কোনও অক্সিজেন সিলিন্ডার না নিয়েই জলের তলায় অনায়াসে ঘুরে বেড়াতে পারে এই যুবতী। আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের থেকে তিনি আলাদা। পাঁচ মিনিট জলের তলায় শ্বাস আটকে ডুবে থাকতে পারেন তিনি। তাঁর এই কীর্তির মাধ্যমেই সাধারণ মানুষের কাছে সমুদ্র সম্পর্কে সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দিতে চান তিনি।
চকচকে মাছের লেজের মতো পোশাক থাকে তার কোমর থেকে। এরকম একাধিক পোশাক রয়েছে তাঁর কাছে। তিনি জানিয়েছেন, “অন্য মেয়েরা যেভাবে জামাকাপড়, গয়না বা জুতো কেনে আমি সেভাবেই এই ধরনের পোশাক সংগ্রহ করি।” সামুদ্রিক কোরাল, মাছ সহ অন্যান্য প্রাণীদের বাঁচাতে বিভিন্ন সেবামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত তিনি।
ফেসবুকে চার লক্ষ ৮০ হাজার ফলোয়ারের সংখ্যা বুঝিয়ে দেয় বিশ্ব জুড়ে তাঁর জনপ্রিয়তা। সোমবার বিশ্ব সমুদ্র দিবস সেলিব্রেট করতে মৎস্যকন্যার পোশাক পরে সমুদ্রে নেমেছিলেন তিনি। কিন্তু তিনি মৎস্যকন্যা কেন? মালিসিয়ার কথায়, “আসলে মানুষ আর সামুদ্রিক প্রাণীদের মধ্যে আমি সেতুর কাজ করি। সামুদ্রিক প্রাণীদের হয়ে কথা বলতে চাই আমি।”
ছোটবেলা থেকেই সাঁতার প্রিয় ছিল মেয়েটির। বড় হয়ে তাকেই পেশা হিসাবে বেছে নিয়েছেন তিনি। তাঁর মতে, যেভাবে নির্বিচারে প্রতিদিন সামুদ্রিক সম্পদ ধ্বংস হচ্ছে তাতে দ্রুত ধ্বংসের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে পৃথিবী।
ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন