0 awesome comments!
পেনিস ফেস্টিভ্যাল' কেন প্রিয় জাপানিদের?
সমবেত হয়ে কেউ কাঁধে করে বয়ে বেড়াচ্ছেন ঢাউস লিঙ্গের মডেল৷ কেউবা লিঙ্গের আকারের আইসক্রিমে জিভ ছুঁইয়েছেন আয়েশ করে৷ আবার কেউবা কাঠের লিঙ্গের উপর চড়ে বসেছেন৷ কোন সংকোচ নেই৷ দ্বিধাও নেই৷ আর এ কোন হলিউডি সেক্স কমেডির দৃশ্যও নয়৷ বরং এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে জাপানিরা সানন্দে মেতে উঠেছেন এই ‘পেনিস ফেস্টিভ্যালে'৷ এ এক আজব উৎসবই বটে৷ কোন ফুলের বাহার নেই৷ বাজির আলো বা রংমশালের ছররাও নেই৷
কোন দেবতার মূর্তিও নেই৷ এ উৎসবের কেন্দ্রে আছে লিঙ্গ৷ হ্যাঁ, শুনতে খারাপ লাগলেও বছরের পর বছর জাপানিরা মেতে ওঠেন এই উৎসবে৷ এবারও তার ব্যতিক্রম হল না৷ ১৯৭৭ সাল থেকেই জাপানিরা এই উৎসব পালন করে চলেছেন৷ কোথা থেকে এল এই উৎসব? স্রেফ কি লিঙ্গ ভালবাসে বলেই এ উৎসব পালন করেন জাপানিরা? ভালবাসা তো আছেই৷ সেই সঙ্গে আছে এক কিংবদন্তিও৷ জাপানে কথিত গল্প অনুযায়ী, একদা এক ধারাল দাঁতের দৈত্য আশ্রয় নেয় এক নারীর যোনিতে৷
সে আর কিছুতেই সেখান থেকে বেরতে চায় না৷ এদিকে নারী যার সঙ্গেই সঙ্গমে রত হন, সেই পুরুষ পড়েন বিপদে৷ কেননা নিজের বিপদ দেখে ওই দৈত্য পুরুষের লিঙ্গ ধারাল দাঁতে কেটে নিত৷ উপায় না দেখে ওই নারী এক কামারের কাছে গেলেন৷ তিনি তাঁকে লিঙ্গের আদলেই একটি বস্তু তৈরি করে দিলেন৷ এখনকার দিনে যাকে ‘ডিলডো' বলা যায়৷
এই লোহার লিঙ্গ দিয়েই নারী ওই দৈত্যের দাঁত ভাঙেন এবং তাঁকে মেরেও ফেলেন৷ আবার ওই নারীর যৌনজীবন স্বাভাবিক হয়৷ এই ঘটনা থেকেই নাকি এই সেলিব্রেশনের সূত্রপাত৷ বলা বাহুল্য, হালকা চালে বলা এই গল্পের পিছনে এক গভীর সামাজিক কথাও আছে বলে মনে করেন অনেকে৷ নারীর যোনিতে দৈত্যবাস ও পরে সেই দৈত্যকে মেরে ফেলার মধ্য দিয়ে সামাজিক অবস্থানে মহিলাদের লড়াইয়ের ব্যাপারটি স্পষ্ট৷ লিঙ্গের মডেল নিয়ে সেলিব্রেশনও যে যথেষ্ট সাহসী ও প্রথাভাঙা তা সারা দুনিয়াই এক বাক্যে স্বীকার করবে৷ এছাড়া এই উৎসবের আরও একটি দিক আছে৷ এ দৈত্য হল আসলে যৌনরোগ৷ যার কোপ পড়ত যৌনকর্মীদের উপরেই৷ আজও তাই যৌনকর্মীরা নিরাপদ যৌনতার প্রতীক হিসেবে এ উৎসব পালন করেন৷ যৌন সংক্রমণঘটিত রোগ এবং এইচআইভির মতো মারণরোগ প্রতিরোধে সচেতনতা ছড়াতে এখনও পালন করা হয় এ উৎসব৷
রূপান্তকামীদের মধ্যেও তাই এই সেলিব্রেশন জনপ্রিয়৷ যেখানে আজও দুনিয়ার বহু জায়গায় নারীরা নিজেদের অধিকার নিয়ে লড়াই করছেন, পুরুষ শাসিত সমাজে নারীদের যৌনজীবন অবদমিত, সেখানে এই মুক্ত যৌনতার সেলিব্রেশন গভীর ইঙ্গিতবাহী৷ যে বার্তা দিতে এই উৎসবের শুরু, আজও প্রতি বছর তার খোলা হাওয়া ছড়িয়ে পড়ে ‘পেনিস ফেস্টিভ্যালে'৷
কোন দেবতার মূর্তিও নেই৷ এ উৎসবের কেন্দ্রে আছে লিঙ্গ৷ হ্যাঁ, শুনতে খারাপ লাগলেও বছরের পর বছর জাপানিরা মেতে ওঠেন এই উৎসবে৷ এবারও তার ব্যতিক্রম হল না৷ ১৯৭৭ সাল থেকেই জাপানিরা এই উৎসব পালন করে চলেছেন৷ কোথা থেকে এল এই উৎসব? স্রেফ কি লিঙ্গ ভালবাসে বলেই এ উৎসব পালন করেন জাপানিরা? ভালবাসা তো আছেই৷ সেই সঙ্গে আছে এক কিংবদন্তিও৷ জাপানে কথিত গল্প অনুযায়ী, একদা এক ধারাল দাঁতের দৈত্য আশ্রয় নেয় এক নারীর যোনিতে৷
সে আর কিছুতেই সেখান থেকে বেরতে চায় না৷ এদিকে নারী যার সঙ্গেই সঙ্গমে রত হন, সেই পুরুষ পড়েন বিপদে৷ কেননা নিজের বিপদ দেখে ওই দৈত্য পুরুষের লিঙ্গ ধারাল দাঁতে কেটে নিত৷ উপায় না দেখে ওই নারী এক কামারের কাছে গেলেন৷ তিনি তাঁকে লিঙ্গের আদলেই একটি বস্তু তৈরি করে দিলেন৷ এখনকার দিনে যাকে ‘ডিলডো' বলা যায়৷
এই লোহার লিঙ্গ দিয়েই নারী ওই দৈত্যের দাঁত ভাঙেন এবং তাঁকে মেরেও ফেলেন৷ আবার ওই নারীর যৌনজীবন স্বাভাবিক হয়৷ এই ঘটনা থেকেই নাকি এই সেলিব্রেশনের সূত্রপাত৷ বলা বাহুল্য, হালকা চালে বলা এই গল্পের পিছনে এক গভীর সামাজিক কথাও আছে বলে মনে করেন অনেকে৷ নারীর যোনিতে দৈত্যবাস ও পরে সেই দৈত্যকে মেরে ফেলার মধ্য দিয়ে সামাজিক অবস্থানে মহিলাদের লড়াইয়ের ব্যাপারটি স্পষ্ট৷ লিঙ্গের মডেল নিয়ে সেলিব্রেশনও যে যথেষ্ট সাহসী ও প্রথাভাঙা তা সারা দুনিয়াই এক বাক্যে স্বীকার করবে৷ এছাড়া এই উৎসবের আরও একটি দিক আছে৷ এ দৈত্য হল আসলে যৌনরোগ৷ যার কোপ পড়ত যৌনকর্মীদের উপরেই৷ আজও তাই যৌনকর্মীরা নিরাপদ যৌনতার প্রতীক হিসেবে এ উৎসব পালন করেন৷ যৌন সংক্রমণঘটিত রোগ এবং এইচআইভির মতো মারণরোগ প্রতিরোধে সচেতনতা ছড়াতে এখনও পালন করা হয় এ উৎসব৷
রূপান্তকামীদের মধ্যেও তাই এই সেলিব্রেশন জনপ্রিয়৷ যেখানে আজও দুনিয়ার বহু জায়গায় নারীরা নিজেদের অধিকার নিয়ে লড়াই করছেন, পুরুষ শাসিত সমাজে নারীদের যৌনজীবন অবদমিত, সেখানে এই মুক্ত যৌনতার সেলিব্রেশন গভীর ইঙ্গিতবাহী৷ যে বার্তা দিতে এই উৎসবের শুরু, আজও প্রতি বছর তার খোলা হাওয়া ছড়িয়ে পড়ে ‘পেনিস ফেস্টিভ্যালে'৷
Published in
Khobor Tobor

পেশায় তিনি পুলিশ কমিশনার। তার কাজ শহরের আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখা।…
ভারতের বিজয়ওয়াড়া শহরে পচাত্তর বছরের এক বৃদ্ধ মন্দিরের সামনে বসে…
অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, ফিনল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলে প্রায় আড়াই মাস সূর্য…
শিরোনাম দেখেই চমকে উঠলেন তো? পৃথিবীর নিষিদ্ধ জিনিসের তালিকাটা সত্যিই…
আত্মায় বিশ্বাস করেন এমন লোকের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। অনেকেই… 