দুই দিনে শিখলেন কোড, তারপর কোটিপতি

Rate this item
(1 Vote)
শুনে মনে হতে পারে অবিশ্বাস্য কোনো গল্প। কিন্তু এ গল্পটি যখন ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ বলেন, তখন তা বিশ্বাসযোগ্যই কিছু। কারণ এর সঙ্গে যুক্ত আছে ফেসবুকের শুরুর দিকের গল্প আর ডাস্টিন মস্কোভিজের দুই দিনে কোড শিখে কোটিপতি হওয়ার ইতিহাস। মার্ক জাকারবার্গকে সহজে চিনলেও মস্কোভিজকে সহজে চেনার কথা নয়। তবে জাকারবার্গ স্বীকার করেছেন—ফেসবুকের সহ-প্রতিষ্ঠাতাদের একজন এই মস্কোভিজ। তিনি ফেসবুক তৈরি ও প্রসারে জাকারবার্গকে সাহায্য করেছিলেন। মাত্র দুই দিনে পিএইচপির মতো প্রোগ্রামিং ভাষা আয়ত্ত করেছিলেন তিনি, যা তাঁকে কোটিপতি বানিয়ে দেয়।

গল্পের শুরুটা ২০০৫ সালে। তখন মাত্র ৫০ জন কর্মীর একটি উদ্যোগ ছিল ফেসবুক। তখন জাকারবার্গ হার্ভার্ডে একটি বক্তৃতা দেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন। কিন্তু ওই সময় জাকারবার্গ তো আর তেমন নামকরা কেউ ছিলেন না! তাই কে শুনতে আসবে তাঁর বক্তৃতা! তবে জাকারবার্গের ওই বক্তৃতাটি কয়েক বছর আগে ইউটিউবে পোস্ট করা হয়, যেখানে জাকারবার্গ আর মস্কোভিজের এই গল্পের কথা বলা হয়েছে। জাকারবার্গ বলেন, তাঁর রুমমেট ও সহপাঠী মস্কোভিজ ফেসবুক নিয়ে তাঁকে সাহায্যের জন্য উদগ্রীব ছিলেন। কিন্তু প্রোগ্রামিং বিষয়ে কিছুই জানতেন না। পিএইচপি শিখতে বলা হলেও ভুল করে শিখে ফেলেছিলেন পার্ল।

পিএইচপি প্রোগ্রামিং ভাষা ব্যবহার করে ডরমিটরিতেই ফেসবুক তৈরি করেন জাকারবার্গ এবং দ্রুত সেটি জনপ্রিয় হয়। জাকারবার্গ বলেন, ‘আমি সাইটটি তৈরি করা শুরু করেছিলাম আগেই যা ২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে হার্ভার্ড উন্মুক্ত করা হয়। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে কয়েক হাজার মানুষ এতে সাইন আপ করেন এবং অনেকের কাছ থেকে এটি চালুর জন্য ইমেইল পেতে শুরু করি।’

এ সময় ফেসবুকের প্রসার করার দরকার পড়লে মস্কোভিজ সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন এবং বলেন, ‘তোমাকে সাহায্য করতে চাই, ফেসবুককে আরও প্রসারে কীভাবে সাহায্য করতে পারি?’

জাকারবার্গ তাঁকে পিএইচপি জানার কথা জিজ্ঞাসা করেন। যাঁরা প্রোগ্রামিং ভাষা ‘সি’ জানেন, তাঁদের জন্য পিএইচপি শেখা সহজ। ওই সপ্তাহেই মস্কোভিজ বাড়ি চলে যান এবং ‘পার্ল ফর ডামিস’ নামের বই কেনেন। ফিরে এসে জাকারবার্গকে বলেন, ‘আমি তোমাকে সাহায্যের জন্য প্রস্তুত।’ তবে জাকারবার্গ বলেন, ফেসবুক তো পিএইচপিতে লেখা, পার্লে নয়। এরপর মস্কোভিজ দুই দিনেই পিএইচপি শিখে ফেলেন এবং জাকারবার্গকে সাহায্য করেন।

জাকারবার্গ ও মস্কোভিজ হার্ভার্ড ছেড়ে পুরো সময় ফেসবুকের পেছনে লেগে পড়েন। তবে ২০০৮ সালে ফেসবুক ছেড়ে দেন মস্কোভিজ। ফেসবুকে তাঁর যে শেয়ার থেকে যায় পরে তাতেই তিনি হয়ে ওঠেন তরুণ কোটিপতিদের একজন। পরে ‘দ্য অ্যাক্সিডেন্টাল বিলিওনিয়ারস’ বই ও ‘দ্য সোশ্যাল নেটওয়ার্ক’ ছবির থিম হয়ে ওঠে জাকারবার্গ ও মস্কোভিজের সম্পর্ক।
0 awesome comments!

Latest from Super User

Scroll to Top