চৈত্র সংক্রান্তির আয়োজন

Rate this item
(1 Vote)

পাঁচমিশালি সবজি

পাঁচমিশালি সবজি
উপকরণ: করলা ১০০ গ্রাম, শজনের ডাঁটা ২০০ গ্রাম, কাঁচা কলা ২টি, মিষ্টিকুমড়া ১০০ গ্রাম, শিম ১০০ গ্রাম, আলু ১০০ গ্রাম, বেগুন ১০০ গ্রাম, কুমড়ার বড়ি ৮-১০টি, কাঁচা মরিচ ৪টি, লবণ স্বাদমতো, তেল ৪ টেবিল চামচ, তেজপাতা ১টি, হলুদের গুঁড়া সামান্য, তরল দুধ ৩ টেবিল চামচ, ময়দা ১ চা-চামচ, চিনি আধা চা-চামচ।
ফোড়নের জন্য: ঘি ২ চা-চামচ, পাঁচফোড়ন আধা চা-চামচ, শুকনা মরিচ ২টি।
বাটা মসলা: সরষে ২ চা-চামচ, ধনে ১ চা-চামচ, মৌরি আধা চা-চামচ, আদা ১ ইঞ্চি পরিমাণ, রাঁধুনি আধা চা-চামচ। সব একসঙ্গে বেটে আধা কাপ পরিমাণ পানিতে মিশিয়ে ছেঁকে নিতে হবে।
প্রণালি: করলা পাতলা করে কেটে লবণ মাখিয়ে তেলে ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। বড়ি ভেজে উঠিয়ে রাখতে হবে। সব সবজি লম্বা ফালি করে কেটে ওই তেলে ভাজতে হবে। লবণ, হলুদ, তেজপাতা দিতে হবে। তরকারি ভাজা ভাজা হলে ছেঁকে রাখা মসলা ও পরিমাণমতো গরম পানি দিতে হবে। ফুটে উঠলে ভেজে রাখা বড়ি দিয়ে ঢেকে রান্না করতে হবে। তরকারি সেদ্ধ হলে ময়দা ও চিনি দুধে গুলিয়ে দিতে হবে। কাঁচা মরিচ ও করলা দিয়ে নামাতে হবে। কড়াইয়ে ঘি গরম করে পাঁচফোড়ন ও শুকনা মরিচের ফোড়ন দিয়ে তাতে সবজি ঢেলে দিতে হবে। পাত্রে ঢেলে ওপরে অল্প ভাজা পাঁচফোড়নের গুঁড়া ছড়িয়ে দিয়ে ভাত, রুটি, পরোটার সঙ্গে পরিবেশন করা যায়।



নিমপাতা ভাজা ও আলুভর্তা


নিমপাতা ভাজা ও আলুভর্তা
উপকরণ: কচি নিমপাতা আধা কাপ, ঘি ৫ টেবিল চামচ।
প্রণালি: নিমপাতা ধুয়ে পানি ঝরিয়ে বাতাসে শুকিয়ে নিতে হবে। ঘি গরম করে অল্প অল্প করে নিমপাতা দিয়ে ভেজে ওঠাতে হবে।
আলুভর্তার উপকরণ: আলু ২৫০ গ্রাম, পেঁয়াজের কুচি ২ টেবিল চামচ, শুকনা মরিচ ৬টি, লবণ স্বাদমতো, ঘি ২ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো।
প্রণালি: আলু সেদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে গরম অবস্থায় চটকিয়ে নিতে হবে। ঘি গরম করে শুকনা মরিচ ও পেঁয়াজ বাদামি রং করে ভেজে ঘি থেকে উঠিয়ে নিতে হবে। এতে লবণ মেখে তা আলু দিয়ে ভালো করে মেখে কড়াইয়ের অবশিষ্ট ঘিয়ে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে নিতে হবে। চুলা থেকে নামিয়ে ভাজা নিমপাতা দিয়ে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করা যায়।



শাক পরোটা



শাক পরোটা
উপকরণ: হেলেঞ্চাশাক ২৫০ গ্রাম, মেথিশাক ২৫০ গ্রাম, থানকুনিপাতা ২৫০ গ্রাম, কালোজিরা ১ চা-চামচ, লবণ স্বাদমতো, তেল ২ টেবিল চামচ, ময়দা ২ কাপ, কাঁচা মরিচের কুচি ১ টেবিল চামচ।
প্রণালি: শাক বেছে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে কুচি করে কেটে নিতে হবে। শাকে লবণ, মরিচ দিয়ে হালকা করে মাখিয়ে ময়দা, তেল ও কালোজিরা দিয়ে মথে নিতে হবে। প্রয়োজনে পানি দিয়ে মথতে হবে। ময়দা ১০ ভাগ বা ইচ্ছামতো ভাগ করে রুটি বেলে অল্প ঘি অথবা তেলে ভেজে নিতে হবে। গরম পরোটা থানকুনিপাতার চাটনি ও রাইতার সঙ্গে পরিবেশন করা যায়।
থানকুনিপাতার চাটনি: থানকুনিপাতা বাটা ১ কাপ, কাঁচা মরিচবাটা ২ চা-চামচ, রসুনবাটা ১ চা-চামচ, লবণ, চিনি ও তেঁতুল গোলা স্বাদমতো। সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে চাটনি বানাতে হবে।
শসার রাইতা: উপকরণ: টক দই ২ কাপ (পানি ঝরিয়ে নিতে হবে), শসা মিহি কুচি ১ কাপ, কাঁচা মরিচ মিহি কুচি ১টি, চিনি ১ চা-চামচ, জিরা টালা গুঁড়া ১ চা-চামচ, বিট লবণ ১ চা-চামচ, লবণ পরিমাণমতো, ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ, সাদা গোলমরিচ গুঁড়া আধা চা-চামচ।
প্রণালি: শসা কুচি, আধা চা-চামচ জিরার গুঁড়া ও ধনেপাতার কুচি আলাদা করে রাখতে হবে। টক দই ও বাকি সব উপকরণ একসঙ্গে ফেটে নিতে হবে। এতে শসা কুচি মিলিয়ে জিরা টালা গুঁড়া ও ধনেপাতার কুচি দিয়ে পরিবেশন করতে হবে।



যবের ছাতুর শরবত



যবের ছাতুর শরবত
১ গ্লাসের উপকরণ: তরল দুধ ১ গ্লাস, যবের ছাতু ২ টেবিল চামচ, চিনি ২ চা-চামচ বা পরিমাণমতো।
প্রণালি: ১ গ্লাস দুধ ছাতু ও চিনি দিয়ে গুলিয়ে পরিবেশন করতে হবে।
দুধের পরিবর্তে ছাতু দই অথবা পানির সঙ্গে গুলিয়ে খাওয়া যায়। এই গরমে যবের ছাতু পেট ঠান্ডা রাখে।



0 awesome comments!
Scroll to Top